শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১১

এই বৃষ্টি জমিয়ে রেখেছি কোথাও

চোখের গহিনে কোথাও টানিয়ে রেখেছি দৃশ্যগুলো। একেকটা টেনে সামনে নিয়ে আসি, রক্তের ভেতর চুপচাপ আলোড়ন। লোমশ অন্ধকারে তলিয়ে যেতে যেতে শুনি তার ডাক, বহুদূর থেকে।

আমি সাড়া দেই-
: হুমম
: কি করেন?
: কিছু না।
: আমি এই মাত্র একটা গল্প পড়লাম। এত্তো জোসস একটা গল্প....
কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করি। লালন করি ভেতরের শুন্যতার আলোড়ন....
তিনি বলেন-
: আমি ভাবছি..... আমি কি ভাবছি জানেন?
: না
: আপনি একটা অভদ্র। আপনিতো জিজ্ঞেস করবেন যে, কি ভাবছেন?
আমি তখন একটা মেঘ আঁকি। তারপর মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়ি লজ্জায়। এদিকে ঝুঁকে পড়ে চাঁদ। অসভ্য রোদের আলোয় পোড়া শরীরের ক্ষতও শিল্প হয়ে ওঠে। আমি সে দৃশ্য চোখে টানিয়ে রাখি। আর তার কণ্ঠ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরিশ্রুত নরম জোসনা। আমি প্রতিটি উচ্চারণে ঘুম ডেকে আনি। তারপর কোথাও বৃষ্টি নামে। আর আমি ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে শরীরে জড়িয়ে নেই মায়ের পুরনো শাড়ি দিয়ে তৈরি নরোম কাঁথাটা। ঘুম থেকে জেগে দেখি তার সবুজ শরীরে জমা শিশির।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন