চমৎকার সব গল্প বলে জমিয়ে তুলছিলাম আসর। রাজকন্যা আর রাজপুত্রের গল্প শুনিয়ে
প্রচণ্ড বাহবা পেলাম। ঘুঘু পাখি আর নীল তিমির গল্পেও তাদের প্রীত দেখি।
আমিও উচ্ছ্বসিত হয়ে আমার ঝোলা থেকে একের পর এক গল্প বের করে ছুড়ে দিতে
লাগলাম শ্রোতাদের দিকে বিস্ময়কর জাদুকরের মতো। দুঃখিনী রাজকন্যার গল্প শুনে
কেঁদে বুক ভাসালো রমনীকুল। দয়ালু রাজার গল্প শোনার পর নগরপতি আমার দিকে
ছুড়ে দিলো স্বর্ণমুদ্রা। মন্ত্রী কন্যা আর ভিনদেশী রাজপুত্রের গল্প শোনার
পর তরুণীরা গোলাপ পাপড়িতে ভরে দিলো আমার আসন আর তরুণরা নিয়ে এলো সুরার
পাত্র। তারপর সুরার নেশায় যাপনের দোতনায় বের হয়ে এলো অনেক গল্প। ঈশ্বর কর্তৃক কুমারী ধর্ষনের
গল্পটাও তারা মেনে নিলো। শুধু মেনে নিতে পারলো না ধর্মগুরু আর নগরপত্নীর
গোপন প্রনয়ের গল্পটি। যারা সারা রাত ধরে আমার গল্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো
তারাই গল্প বলার অপরাধে আমাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন