১
সমস্ত শরীর ডুবিয়ে ঘন রক্ত থেকে ঝেড়ে ফেলছি অন্ধকারের রঙ। চাঁদ আর মেঘ মাখামাখি সুর। বাতাসে হরিতের ঘ্রাণ। একটা স্বরের তৃষ্ণায় কম্পমান আঙুল। দীর্ঘ শ্রবণ আর কল্পনায় আমার ভেতর কারো শূন্যতা। কেউ আমার কানে কানে ঢেলে দিয়েছে গুনগুন সুর। আমি বধির হয়ে গেছি।
২
রক্তের স্বাদে ভিজিয়ে দেব প্রচণ্ড সুন্দর, শিরায় শিরায় রক্তের নহর বাদ্যে জাগরুক, তোমার গান ফিরিয়ে নাও, আমাকে আহত করে নাবালিকা সুর, তুমি বরং একটা যন্ত্রণার চিঠি লেখো, প্রাপকের নামে আমার নাম লিখো, প্রিয় ফুরিয়ে যাওয়া দুপুর।
সে যখন জেনে যাবে তার চোখ আমাদের চোখের চেয়ে বিষণ্ণতর তখন সে আমাদের চোখ পুড়িয়ে দেবে। আমরা আমাদের চোখে লুকিয়ে রাখি কাঁটাবন। আমাদের চারপাশের দৃশ্যগুলো পূর্ণ দেখার চোখ আমাদের নেই। অপূর্ণতা এক ধরণের আড়াল। আর আড়ালে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। যারা পূর্ণ দেখে তারা আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার সহজ কোন পথ নেই, সেটা আমি জানি। আর এ জন্যই বস্তুত আমরা পরাধীন। আমরা কোনদিন নিঃশেষে বিভাজ্যের সূত্র জানবো না।
৫
নয়নতারা, কাঠবেলী অথবা টগর সংক্রান্ত জটিলতায় জড়িয়ে যাবার পর মনে হয় আমি আমার নাম ভুলে গেছি। কেউ আমাকে ছেড়ে গেছে তারাবাতি রাতে। তার চোখে ডুবে গেছে আমার সকল সুর। আমি তার জন্য বেঁচে থাকি।আমি তার জন্যও বেঁচে থাকি। বুকের গহীনে ক্ষত চিরকাল। জানলাবন্ধ ঘরে আগন্তুক আলোয় নাড়ি হাতের আঙুল। তোমাকে স্পর্শ করিনি তবু জানি তোমার শরীরের উষ্ণতায় নিমজ্জিত ঠোঁট পুড়ে গেছে। যখন কেউ আমাকে প্রশ্ন করে আজ পূর্ণিমা কিনা, তখন আমি বলি
'আমি অন্ধ হয়ে গেছি'।
ইথিলিয়াস, তোমার বন্ধু মরে গেছে আর আমি অন্ধ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন