মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১১

তার গ্রীবায় লেগে থাকে বিষণ্ণ সুন্দর

পালকের ফাঁকে ক্ষতের দঙ্গল
রক্তের আভায় ছড়িয়ে পড়ছে
ক্রোধান্ধ চোখ, চিবুকের
কাছে থরো থরো চিকার
ভাষাহীন অথচ কলহে
পুড়ে যাচ্ছে পুরোটা মানচিত্র;
আমি এর অনুবাদ জানি না।

প্রতিটি পতন পুলক আনে প্রেমের, কোন কোন পতনে মৃত্যু; মৃত্যু ও প্রেম সমগোত্রীয়।
সে প্রথম চোখে চোখ রাখলে চোখের ভেতর চাষ হয় স্বপ্নের
তার গ্রীবায় লেগে থাকে বিষণ্ণ সুন্দর, তার ঠোঁটের পাশে গন্ধমাখা হরিতের।
প্রথমবার চুম্বনে আমার পতন ঘটেছিলো, আমি তাকে মৃত্যু বলে জানি।

কবরস্থানের উল্টোদিকের পাড়াটায় এক চাঘরে বসে আছি। অদূরেই মূর্তিকারিগর নিপুন হাতে সুঢৌল করে দিচ্ছে প্রতিমার স্তন। তারপাশেই এক রমনী উনুনে ঢেলে দিচ্ছে রান্নার উপকরণ। ঘামে ভেজা তার শ্যামলা শরীর, লাল ব্লাউজ। জ্বল জ্বল করছে সিঁথির সিদূর, পানরসে লাল ঠোঁট। এক অন্ধ গায়েন সারিন্দায় তুলে আনছে সুর। সারিন্দার কাঠে বসে আছে পোষা কালো পাখি। গায়েনের নরোম মুখে অদ্ভুত স্মিত হাসি। একটি নগ্ন মেয়েশিশু মাটিতে বসে বসে খেলছে আপন মনে। একটা কাক মৃতপ্রাণীর নারিভুরী ছিঁড়ছে। একটা তরুণী জল ঢালছে আষাঢ়ের বৃষ্টিহীন তাপে পোড়া শরীরে। চানির্মাতার ঘামে ভেজা চিকচিকে কালো শরীর। পথচারী, রিকশা, সাইকেল আর একটা দোকানে মমতাজের স্বর। আর আমার মস্তিষ্ক জুড়ে একটা অবয়বহীন শুধু কণ্ঠস্বরের নারী। আমি তাকে চিঠি লিখি প্রতিদিন।

২টি মন্তব্য: