রবিবার, ২৬ জুন, ২০১১

বন্ধু, ওখানে স্পর্শ করো না, ওখানে ক্ষত জমে আছে


একবার দেখো আমি ‘বন্ধু’ শব্দটাকে কতোটা আদর করে জড়িয়ে রেখেছি। ওখানে স্পর্শ করো না, ওখানে ক্ষত জমে আছে। একবার ভাবতো আমি কি ছিন্ন করেছি রোদ? আমি কি লঙ্ঘন করেছি সীমার আঁধার? আমি বরাবর আমার সম্পর্কে সচেতন। বন্ধু, আমাকে ছেড়ে যাওয়া জোনাকিদের আমি চলে যেতে দেই তাদের ভালোবাসি বলে। এই আঁধারটুকু আমার থাক।
দেখো, তোমাকে সাজিয়ে রেখেছি, ওখানে স্পর্শ পড়েনি ভুল। তোমাকে কামড়ে খায়নি ভেতরের প্রেত। আমি পারি, আমাকে এভাবেই গুছিয়ে রেখেছি। আমি ছাড়া কেউ বাজাতে পারবে না আমার এস্রাজ। আমার এস্রাজে আমি ভুল সুর তুলি না।
তোমার কাছে আমার অনেক গানের দেনা। তোমার কাছে আমি সুরের ঋণে বন্দী। তোমার কণ্ঠে আমার অলকধানের ফসল। তোমার চোখে বুনে দিয়েছি কৃষ্ণপ্রহরের ঘুম। আমাকে ক্ষমা করো, বন্ধুত্বের চেয়ে আর বড়ো কোন ঋণ নেই।
তুমিও চাচ্ছিলে, আমিও ছিঁড়ে দিলাম প্রণয় বকুল। আঙুলে জড়াবো না আঙুলের শোক। ভালো থেকো, ভালো থেকো।
“একজন একা একা গুছিয়ে নিচ্ছে মৃত্যু ও মদের দুপুর”
তুমি জানো দুপুরের রোদ অসুখ আমার। তুমি জানো ভেতরে পোষা অসুখে জীর্ণ আমার চোখের পাতা। দ্রাক্ষারসে ধুয়ে দেওয়া তোমার আলিঙ্গন পূর্ণ হলো। দুপুরের রোদে বিহ্বল বাতাসে বাঁশপাতা কাঁপলে ভুলে যেও পথের ধুলোয় আমার পায়ের চিহ্ন জমা। আমি একা থাকি, একাই বাঁচি। আমি আমাকে পাল্টাবো না। তুমি যাতে বিরক্ত না হও তার জন্য একটা দেয়াল টেনে দিয়েছি। এটাকে কান্না ভেবো না। আমি কখনো কখনো প্রচণ্ড নিষ্ঠুর। নিষ্ঠুর সময়ে কেউ কখনো কাঁদেনা।

1 টি মন্তব্য: