রবিবার, ১৫ মে, ২০১১

ভেসে যায় সুগন্ধী বাতাসে মৃত্যুগ্রহী প্রাণ


পাথরে চূর্ণ করে দিচ্ছি হাতের আঙুল। খসে পড়ছে উভচর মন। তার গোলাপশরীর আজ রঙহীন! কাঁপছে, ভয়ঙ্কর কাঁপছে। আর কণ্ঠজুড়ে আদুরে রোদ, রোদের মাঝে গুপ্ত ধাতব ফলায় চিকচিকে ধার। স্পর্শে স্পর্শে আনত চোখে গোল হয়ে নামি, ধীরে ধীরে সযতনে আল্পনা আঁকি দু'চোখের কাজল পাতায়।

একটা অন্ধকারে পথ হয়ে মিশে গেছি। বেজে উঠছে শঙ্খধ্বনি। আলোর পাশাপাশি বুনে যাচ্ছি রাতের শস্য। ফনাতোলা রোদে পুড়ে যাচ্ছে শহর ও শরীর। একটা সুগন্ধ আলোয় মিশে একাকার। একটা অন্ধকার লকলকে জিহ্বা তোলে আঁধার। মটরের খোলশ পোড়া ধোঁয়ায় চূর্ণ শালধূপের রঙ। ভেঙে পড়ছে, ভেঙে পড়ছে নীরব নয়ন।
কারে তুমি পুজা দেবে রোদবিনোদিনী? শরীরের গহীন থেকে তোলে আনছি উম। বিনির্মানের কাঠামোয় পুনরুদ্ধার তারপর পুনরায় যুদ্ধ। তোমার দেবতারা সমকামী। তাদের চোখ জুড়ে ছায়াবাড়িঘর। প্রার্থনার গানে কম্পিত স্বর আর উচ্চাঙ্গ সুর। আমার মুখ দেখো, ভেতরে নদী নেই, প্রচণ্ড পাহাড়। যুদ্ধজয়ের পর তোমার ঠোঁটের রেখায় রেখে দেবো গোপন প্রজাপতি। তাকে তুমি হত্যা করো, ফুল।
তার বুকের কাছে জমা থাকা কিছু নৈঃশব্দ্যের গল্প কে লেখে দেয়? কার চোখের রেটিনায় উল্টো প্রতিবিম্বে ছায়া হয়ে ভাসে! প্রচণ্ডগতিতে একটা চাকা পিস্ট করে যাক মস্তিষ্ক আমার। গলিত মগজ হাতে নিয়ে খুটে খুটে দেখবো কোথায় রেখেছি স্মৃতিগুলো তার। দাও, একটা সিগারেট ধরাই।

ভেসে যাক সুগন্ধী বাতাস, ভেসে যাক মৃত্যুগ্রহী প্রাণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন