বুধবার, ২৫ মে, ২০১১

মাঝরাতের ডাকপিয়ন


বুকের কাছাকাছি গলার ভেতর কি যেন আটকে আছে। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কি হয়েছে আমার! কি হয়েছে আমার!
আমার ঘরের কোন কালেই কোন জানালা ছিলো না। নাকি ছিলো! মনে করতে পারি না। আমার ঘরে এখন জানালা আছে কিনা আমি জানি না। আমি অন্ধ হয়ে গেছি। অন্ধ হওয়ার আগের স্মৃতি ভুলে গেছি, হিরন্ময়।
কে আমাকে ছিন্ন করে দিলো রাতের কাছ থেকে, কি করে ঝরে পড়লো চোখের পাতা থেকে ঘুম?
বহুদিন আমি একটা পথ হয়ে শুয়েছিলাম, আমি একটা ট্রেনের হুইসেল হয়ে বেজেছিলাম। মাঝরাতে সারা শহর আমি ছাড়া একা। মৃত জোনাকের স্মৃতির আকাশে মেঘ থাকে না। আর কোথাও বৃষ্টি হয় না, আজ আর কোথাও বৃষ্টি হয় না। কেবল আমারই বৃষ্টি থাকে সারাক্ষণ।
ছোট শহরটার রেলস্টেশনের কোণে সাপুড়ে সাপের খেলা দেখায়। অদূরে কৃষ্ণ নাগ সাথে সবুজ নাগিনী। নাগিনীর বাঁকে বাঁকে চাঁদের নহর। সাপুড়ের হাতে বর্ণালি দাড়াশ। কৃষ্ণ নাগের চোখে বিষের স্ফুরণ। নাগিনীর ঠোঁট কাঁপে, আমার চোখে গেঁথে রাখে চোখের চুম্বন। দাড়াশের শরীরে স্পর্শ রেখে আমি নাগিনীর দিকে যাই। বেগানা পুরুষ আমি নাগিনীর ঠোঁটে রাখি মরণ চুম্বন। 
প্রাচীন একটা সুর গান হয়ে বাজে, সে এখন ঘুমায়। তার ভাঁজ হয়ে থাকা শরীর দিনের ক্লান্তিতে চুপ। আমি রাত জেগে জেগে তার স্বপ্ন হয়ে ভাসি। আমার পুরাতন কাঁথাটা তার নাম নিয়ে জড়াই নিজের শরীরে। সে এখন আমার শরীরের ঘ্রাণে স্বপ্নে মজে আছে। তার ঘুম ভেঙে ভুলে যাবে আমাকে। আমি প্রচণ্ড পুরুষ তবুও কান্নায় ভেঙে পড়ি। 

1 টি মন্তব্য:

  1. মৃত জোনাকের স্মৃতির আকাশে মেঘ থাকে না।

    দাড়াশের শরীরে স্পর্শ রেখে আমি নাগিনীর দিকে যাই। বেগানা পুরুষ আমি নাগিনীর ঠোঁটে রাখি মরণ চুম্বন।

    আমি রাত জেগে জেগে তার স্বপ্ন হয়ে ভাসি।

    উত্তরমুছুন