সোমবার, ১৬ মে, ২০১১

বিভ্রান্তের দৃশ্যগুলো


প্রার্থনার সময় থেকে নিরুদ্দেশ অন্ধকার জমাট হয়ে এলে তার ঘুম ছুটে যায়, তার আঙুলগুলো আঙুলের চারপাশে ঘুরে স্থির কিন্তু আবেশে তৃষ্ণার্ত। একটা কণ্ঠে আকণ্ঠ ডুবে থেকে চৌচির করে নেয় নিজের শরীর, সে নিজেই ধারণ করেছে জলের অভিযোজন। একটা ট্রেনের জানালায় দৃশ্যবন্দী চোখ তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। দ্রুতগামী দৃশ্যের ভেতর আটকে থাকে আবাবিল পাখি। সে তার রক্তে পুজোর আয়োজন করে। আর একটা সবুজঘ্রাণে মস্তিষ্ক ভারী করে তোলে। তারপরের দৃশ্য আমাদের দৃষ্টিগত হয় না।



একটা নগর রাতে জড়িয়ে নিচ্ছে বৃষ্টি। ল্যাম্পপোস্ট পাখি হয়ে উড়ে আর পাখিটা স্থির বসে থাকে ল্যাম্পপোস্টে। বাতাস ঢেলে দিয়ে যায় ইকারুসের পাখার ঘূর্ণি আর নাদ। শহরটা ঘুমিয়ে পড়ার আগেই জেগে ওঠে বাঁশিওয়ালা। এটা হ্যামিলন নয়। বাঁশি বাজবে না তবুও বৃষ্টির জলে মানুষেরা ইঁদুরের মতো গুটিসুটি মেরে হাঁটে। বৃষ্টি গায়ে মেখে মেখে ল্যাম্পপোস্টটাকে পাখি হতে দেখে। তাদের শরীর থেকে  ধুয়ে যাচ্ছে দিনের সূর্যপোড়া ঘ্রাণ। 



সে ভাঁজ হয়ে বসে আঙুলে জড়ায় রাত
জাদুর ঝোলা থেকে অদৃশ্য সুতো টেনে টেনে
নামিয়ে আনে জোকার জোনাক আর স্মৃতির ভায়োলিন
তার একটা আঙুল স্পর্শ করে ঠোঁট


তারপর 
জোসনাধোয়াজানালায় এলিয়ে দিয়ে শরীর 
মার্কজের মগজ খুঁড়ে হাসে



চোখের কোণে জন্মান্তরের দাগ, শ্বেতপদ্মফুল
চুলের গোড়ায় ঢেলে নিচ্ছে জবার আঙুল।



আমি কি সে সকল পথ অস্বীকার করে এখানে দাঁড়াইনি
তবু কেন চূর্ণ পাথর আমার রক্তের স্বাদে নোনা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন