বুধবার, ১৮ মে, ২০১১

অনুস্বর : ১


প্রচ্ছন্ন বোর্হেসের ঘরে আমরা তিনজন আর রমজান। মেঘলা আকাশ। আসার পথে দু'এক ফোঁটা বৃষ্টি আমরা আমাদের শরীরে মেখে নিয়েছিলাম। প্রথমে জলফোঁটাগুলোকে স্পর্শ করে করে আমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নেই। তারপর গেলাসে লবণ ঢেলে পান করি স্ফটিকাকার তরল। ইথারে চিঠি লিখি- 'এসো'। সে আসলে আমরা পাঁচজনে পূর্ণ হই। একটা কাগজে সে ছবি এঁকে বলে 'পৃথক'। আমরা সবকিছুকে জড়িয়ে পড়তে দেখি। তারপর আমি তার বিছানায় এলিয়ে থাকি অনেকক্ষণ। তাদের একজনের কেউ এসে একজনকে ডেকে নিয়ে যায় তরঙ্গে তরঙ্গে। সে নরোম হয়ে ভেঙ্গে পড়ে। আমি আউটসাইডার, চোখ রাখি  কখনো কুকুরের চোখে। তারপর আমরা আমাদের আঙুলগুলোকে সিগারেট ভেবে ঠোঁটে চেপে টেনে টেনে ধুঁয়া উড়াই। আমাদের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে যায় ওপাশের বারান্দায় ঝুলে থাকা তরুণী পা। কিছুটা সময় আমরা বিভ্রান্ত থাকি। তারপর চুপচাপ ফিরে আসি।

বহুদিন পর তার সাথে দেখা হওয়ার আগে আমরা দু'জনে আইসক্রিম খাই। তারপর আমরা যখন আমাদের নদীটির দিকে হাঁটছিলাম। তখন তার সাথে দেখা হয়। সে একটা আলখেল্লার ভেতর লুকিয়ে হেঁটে হেঁটে ফিরছিলো।

আমরা তার নাম দেব চোখের পাতা। তারপর আমরা নদীটির কাছে যাবো। তারা এবং আমি পৃথক থাকবো। আর আমার কেউ থাকবে না। আমি নিঃসঙ্গতা অনুভব করে তাকে ফোন দেয়ার কথা ভাববো, তাকে চিঠি লেখার কথা ভাববো। কিন্তু চুপচাপ হেলান দিয়ে একা একা বসে থাকবো।  আকাশে একটা চাঁদ থাকতে পারে গোল।

অনেকদিন পর হঠাৎ তার হাত দুটি সংকোচিত হয়ে আসে বুকের কাছে। আমার পিঠে হেলান দিয়ে দাঁড়ায় অগুছালো চুল। সে আমার কেউ নয়, কেউ নয়। তবু কি ভেবে একা একা কেঁপে কেঁপে ফিরলাম ঘরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন